20% OFF

ধ্যানবিন্দু দর্শন গ্রন্থমালা-৮ | উপনিষদে সাধনরহস্য | রাজমোহন নাথ

Uponishode Sadhan-Rahasya By Rajmohon Nath

160.00

ধ্যানবিন্দু দর্শন গ্রন্থমালা ৮

উপনিষদে সাধনরহস্য / রাজমোহন নাথ
(জনৈক নাথ যোগীর দৃষ্টিতে উপনিষদের কাহিনীর অন্তরালে দেহতত্ত্ব ও কায়া-সাধনার রূপক-উন্মোচন)

পশ্চিমা Structuralism-এর অবদান ভাষাতত্ত্বের synchronic বিচার। সে বিচারে ‘শব্দ’ (word) একটি চিহ্ন (sign), যার দুটি দিক– চিহ্নক (signifier) ও চিহ্নিত (signified)। এবং এই চিহ্নক ও চিহ্নিতের মধ্যে সম্পর্ক নেহাতই আপতিক। অর্থাৎ ‘বিড়াল’ শব্দের মধ্যে কোনো বিড়ালত্ব নেই। ও একটা কোডমাত্র। ওই জন্তুর জন্য অন্য কোনো কোড ধরা যাক ‘ময়ূর’ও ব্যবহার করা যেত। অর্থাৎ ‘ময়ূর’ শব্দেও নেই কোনো ময়ূরত্ব। একই ভাবে, ‘মানুষ’ শব্দে নেই মনুষ্যত্ব। যা বিড়াল কুকুর ছাগল ভেড়া সিংহ ব্যাঘ্র ইত্যাদি নয়, তেমনই কিছু একটা হলো মানুষ। অন্যান্য যা কিছু নয়, অর্থাৎ এক নেতি বা negation, যার মধ্য দিয়ে একটা শব্দ বা চিহ্নের (sign) অর্থ উৎপাদিত হয়।

 

কিন্তু ভারতীয় ভাষাদর্শনে এ-প্রস্তাব অবান্তর। বাক্ সেখানে ব্রহ্মের শক্তিস্বরূপা। আর যেহেতু ব্রহ্ম ও তার শক্তি অভেদ– তাই শব্দই ব্রহ্ম। মনে রাখতে হবে word এবং sound দুইই ভারতীয় ভাষায় ‘শব্দ’ এবং ভারতীয় ভাষাচেতনায় তাদের সম্পর্ক মোটেও দূরত্বের নয়। শব্দের অর্থ সেখানে নেতিকরণের মধ্যে দিয়ে উৎপন্ন হয় না, শব্দ সেখানে অস্তিত্বের বাচক, অনস্তিত্বের নয়।

 

এই বইতে বৈদিক ও অবৈদিক শব্দের অর্থনিষ্পত্তির ক্ষেত্রে, ভাব থেকে ভাষায় তথা পরা থেকে বৈখরীর পথে বাক্-স্ফূর্তির গতি-মাত্রা-প্রবণতা-রঙ-উষ্ণতা-আয়তন-অভিপ্রায় বর্ণনা করতে গিয়ে বর্ণমালার যে শক্তিতত্ত্ব প্রয়োগ করা হয়েছে, তা ভারতীয় ভাষা-বিজ্ঞানের সফল ও সাবলীল প্রয়োগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। গ্রন্থটির অভিনবত্ব এখানেই।

 

Reviews

There are no reviews yet.

Recently Viewed Products
You have no recently viewed item.